BCS এর পূর্ণরূপ Bangladesh Civil Service
BCS এর মূলনীতি ও পরিচালনা পরিষদ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হয়।

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা শেষে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কর্মকর্তা হওয়া।
বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) ক্যাডার পদগুলো দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক চাকরিগুলোর একটি।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা সংক্ষেপে বিসিএস পরীক্ষা হলো দেশব্যাপী পরিচালিত একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা যা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (কর), বিসিএস (পররাষ্ট্র) ও বিসিএস (পুলিশ) সহ ২৬ পদে কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য পরিচালিত হয়ে আসছে। যাদিও পূর্বে বিসিএস ক্যাডারে ২৭টি পদ ছিল, কিন্ত ২০১৮ সালে ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সাথে একত্রিত করায় বর্তমানে বিসিএস ক্যাডারে পদ সংখ্যা ২৬টি।
বিসিএস পরীক্ষা পর্যায়ক্রমে তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়- প্রাথমিক পরীক্ষা (এমসিকিউ), লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা (ইন্টারভিউ)। পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১ থেকে ৩ বছর সময় লাগে।
পরীক্ষা পদ্ধতি:
বিসিএস বা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা সাধারনত তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়।
প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারী পরীক্ষা: প্রাথমিক পরীক্ষা – এটি বিসিএস পরীক্ষার প্রাথমিক যোগ্যতা বাছাই পর্ব। প্রতি বছর সাধারণত মে/জুন মাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার এক মাস আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং পরীক্ষার প্রায় এক থেকে দেড় মাস পরে ফলাফল প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০%। ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারী পরীক্ষার মানবন্ট। যেমন-

লিখিত বা দ্বিতীয় ধাপ: লিখিত পরীক্ষা – এটি বিসিএস এর প্রধানতম পরীক্ষা, সাধারণত প্রতি বছরের অক্টোবর/নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক মাস আগে পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং পরীক্ষার প্রায় ২ থেকে ৩ মাস পর সাধারণত ফলাফল প্রকাশিত হয়। সর্বমোট ৯০০ নম্বরের লিখিত ও প্রফেশনাল বা টেকলিক্যাল ক্যাডারের জন্য বাড়তি ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর পেলে সাধারণত একজন প্রার্থীকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়।
চূড়ান্ত বা তৃতীয় ধাপ: মৌখিক পরীক্ষা (ইন্টারভিউ) – লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষাটি মোট ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর একত্রে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সাধারণত মৌখিক পরীক্ষার ১.৫ থেকে ২ মাসের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট নদী কোনটি?
বাংলাদেশে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ডিগ্রি (৪ বছরের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর) পর্যন্ত প্রত্যেকটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে শর্ত হলো—এসএসসি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা পর্যন্ত যে কোনো দুটি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমান থাকতে হবে। যদি কোনো প্রার্থী তিনটির বেশি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের নিচে ফলাফল করে থাকে, তাহলে তিনি বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
বিসিএস এর ক্যাডার কয়টি ?
বর্তমানে বাংলাদেশে বিসিএস এ ২৬ টি ক্যাডার রয়েছে। ২৬ টি ক্যাডারকে আবার ২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে
১। সাধারণ ক্যাডার ১৪টি। যেমন-
ক্রমিক | ক্যাডারের নাম |
---|---|
১ | বিসিএস প্রশাসন |
২ | বিসিএস পুলিশ |
৩ | বিসিএস আনসার |
৪ | বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা |
৫ | বিসিএস কর |
৬ | বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব |
৭ | বিসিএস সমবায় |
৮ | বিসিএস পররাষ্ট্র |
৯ | বিসিএস তথ্য |
১০ | বিসিএস ডাক |
১১ | বিসিএস খাদ্য |
১২ | বিসিএস বাণিজ্য |
১৩ | বিসিএস রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক |
১৪ | বিসিএস শুল্ক ও আবগারি |
২। টেকনিক্যাল ক্যাডার ১২ টি। যেমন-
ক্রমিক | ক্যাডারের নাম |
---|---|
১৫ | বিসিএস কৃষি |
১৬ | বিসিএস শিক্ষা |
১৭ | বিসিএস কারিগরি শিক্ষা |
১৮ | বিসিএস স্বাস্থ্য |
১৯ | বিসিএস পরিসংখ্যান |
২০ | বিসিএস মৎস্য |
২১ | বিসিএস প্রাণিসম্পদ |
২২ | বিসিএস রেলওয়ে প্রকৌশল |
২৩ | বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল |
২৪ | বিসিএস বন |
২৫ | বিসিএস সড়ক ও জনপথ |
২৬ | বিসিএস গণপূর্ত |