(ক) দিনাজপুর
(খ) হাটহাজারী
(গ) কুড়িগ্রাম
(ঘ) নীলফামারী
তারামন বিবি ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার শংকর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তারামন বিবির উপাদী বীর প্রতীক। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
তারামন বিবি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে নিজের গ্রাম কুড়িগ্রামের শংকর মাধবপুরে অবস্থান করেন। তখন এ সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। তাঁর গ্রামের পাশের এক ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা মুহিব হাবিলদার তাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন। প্রথমে তিনি রান্নাবান্নার কাজে সহায়তার জন্য তারামনকে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিল মাত্র ১৩–১৪ বছর।
কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তারামনের সাহস, দৃঢ়তা ও সক্ষমতা দেখে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালনা শেখান। পরবর্তীতে সহকর্মীদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি বিভিন্ন যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারামন বিবি ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
ডা. ক্যাপ্টেন সিতারা রহমান
ডা. ক্যাপ্টেন সিতারা রহমান একজন সুপরিচিত নারী মুক্তিযোদ্ধা, যিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা ও অবদান রাখেন। তাঁর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।
সিতারা রহমান (জন্ম: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬, কিশোরগঞ্জ) একজন বীরপ্রতীক নারী মুক্তিযোদ্ধা। বাবা আইনজীবী মোহাম্মদ ইসরাইল ও মা হাকিমুন নেসার তৃতীয় সন্তান সিতারা বেগম বৈবাহিক সূত্রে সিতারা রহমান নামে পরিচিত। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই মেজর এটিএম হায়দারও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
কিশোরগঞ্জে শৈশব কাটানোর পর সিতারা হলিক্রস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিকেলে লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি কর্মরত ছিলেন কুমিল্লা সেনানিবাসে।
১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় ভাই মেজর হায়দার তাকে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফেব্রুয়ারিতে পরিবারসহ কিশোরগঞ্জে ছুটিতে এসে পরিস্থিতির অবনতি হলে হায়দার সিতারা, বাবা-মা ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিরাপত্তার জন্য ভারতে পাঠান। কিশোরগঞ্জ থেকে মেঘালয় পৌঁছাতে তাদের প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগে।
https://www.daarika.com/?p=2501 ফুলকপির ইংরেজি শব্দ কি ?
সেতারা বেগম কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন ?
(ক) ১১ নং সেক্টরে
(খ) ৬ নং সেক্টরে
(গ) ২ নং সেক্টরে
(ঘ) ১০ সেক্টরে
সিতারা বেগম মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরের অধীনে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। আর তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF